ড. ইউনুস এর সম্মানে ভারতের হানি সিং-এর গান ! ৭ দিনে ৫৬ মিলিয়ন ভিউ, ভারত-বাংলাদেশে আলোচনার ঝড়
.jpg)
Tuhin Sarwar is an award-winning Bangladeshi journalist, author, and publisher, widely recognized for his compelling coverage of human rights, global crises, and social justice. His investigative reporting on critical issues like the Rohingya refugee crisis, child labor, and political developments provides in-depth analysis and thought-provoking insights on the challenges facing Bangladesh and the world. As the editor and publisher of The Today, Tuhin Sarwar advocates for independent journalism
ইসকন (ISKCON), যা The International Society for Krishna Consciousness নামে পরিচিত, একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক সংগঠন। এটি ১৯৬৬ সালে আমেরিকার নিউইয়র্কে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ‘অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ’। সংগঠনটির মূল উদ্দেশ্য হল মধ্যযুগের চৈতন্যদেবের অনুসরণ করা এবং বিশ্বব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের পূজার প্রচলন করা। তবে ইসকনের কার্যক্রম এবং দৃষ্টিভঙ্গি সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল ধারার সাথে অনেক ক্ষেত্রেই সাংঘর্ষিক।
ইসকনের উদ্ভব এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনি তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এখানে ভিজিট করতে পারেন।
ইসকন ও মূল ধারার হিন্দুদের মধ্যে বিরোধ
ইসকনের সৃষ্টির সময় থেকেই মূলধারার সনাতন হিন্দুদের সাথে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল। ইসকন দাবি করে যে তারা শুধুমাত্র শ্রীকৃষ্ণের পূজা করবে এবং অন্য কোনো দেবতার পূজা করবে না, যদিও হিন্দু ধর্মের মূল দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং শিব। এটি সনাতন হিন্দুদের জন্য একটি গুরুতর বিতর্কের বিষয়। এই নতুন ধরণের হিন্দু ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রভুপাদ, যিনি খ্রিস্টানদের চার্চে পড়াশোনা করেছিলেন এবং ফার্মাসিউটিক্যাল ব্যবসায়ী ছিলেন, মূল ধারার হিন্দু ধর্মের চর্চা থেকে একেবারে আলাদা পথ বেছে নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে, আপনি এই লিংকটি দেখতে পারেন, যেখানে ইসকনের সদস্যদের গোপন নীতিনির্ধারণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
ইসকনের কর্মকাণ্ড এবং ভারতবর্ষে তার প্রভাব
ইসকন এক ধরনের এনজিও জাতীয় প্রতিষ্ঠান, যা নিম্নবর্ণের হিন্দুদের মাঝে ধর্মীয় বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করে। তাদের মন্দিরগুলো সাধারণত নিম্নবর্ণের হিন্দুদের আশপাশে নির্মিত হয়, যেমন ঢাকা শহরের স্বামীবাগ মন্দির এবং সিলেটের চা শ্রমিকদের এলাকাগুলিতে।
বর্তমানে, ইসকনের কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইহুদীরা। ইসকন থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ আসে, বিশেষ করে মোসাদ ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মাধ্যমে। তাদের আর্থিক অবস্থান এবং অবকাঠামো অনেক শক্তিশালী, যা তাদের কার্যক্রমের বিস্তারকে আরও সহজ করে তোলে।
গরুর গোবর এবং গোমূত্রের ব্যবসা
ইসকন একটি পরিচিত সংগঠন যা গরুর গোবর এবং গোমূত্র দিয়ে খাবার তৈরি করে এবং তা বিশ্বব্যাপী প্রচার করে। তারা "পঞ্চগব্য" নামে একটি খাবারের প্রচলন করেছে, যা গরুর গোবর ও গোমূত্র সহ পাঁচটি উপাদান দিয়ে তৈরি। এই পণ্যগুলি তারা তাদের ওয়েবসাইটে প্রচার করে, যেখানে গরুর গোবর এবং গোমূত্রের উপকারিতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই লিংকটি দেখে আপনি আরও জানতে পারেন ইসকনের গোশালা সংক্রান্ত তথ্য।
ইসকনের উগ্র সাম্প্রদায়িক কার্যক্রম
ইসকন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে কাজ করছে। তারা হিন্দু-মুসলিম বিরোধ এবং ধর্মীয় দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের উস্কানিমূলক ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করে। বাংলাদেশে ইসকন এর সদর দফতর নদীয়া জেলার পাশে মায়াপুরে অবস্থিত, যা একে একটি আন্তর্জাতিক উগ্র ধর্মীয় সংগঠন হিসেবে পরিচিতি দিচ্ছে।
তাদের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করা। গোয়েন্দা সংস্থা এবং অন্যান্য সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে ইসকন একটি ইহুদি সংগঠন, এবং তাদের কার্যক্রম বাংলাদেশের পরিস্থিতি অস্থির করতে সাহায্য করছে।
সাম্প্রদায়িক কার্যক্রমের উদাহরণ
ইসকন, বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করেছে। যেমন:
স্বামীবাগ মন্দিরের দখল
ইসকন সদস্যরা স্বামীবাগ মন্দিরটি দখল করে নেয়। এই ঘটনায় সনাতন হিন্দুদের তাড়িয়ে মন্দিরের মালিকানা ইসকন নিজেদের দখলে নেয়, যা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করে। সূত্র
সিলেটের জগন্নাথপুরে রথযাত্রায় হামলা
সিলেটের জগন্নাথপুরে সনাতন হিন্দুদের রথযাত্রার সময় ইসকনের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়। এই হামলার ফলে সনাতন হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব বাধাগ্রস্ত হয় এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সূত্র
চাকরিতে অবৈধ প্রভাব
ইসকন বাংলাদেশে হিন্দুদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করেছে, যার ফলে হিন্দুদের মধ্যে সরকারি চাকরিতে তাদের সংখ্যা বেড়েছে। এটি স্থানীয় মুসলিম জনগণের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে এবং চাকরিতে অভ্যন্তরীণ বৈষম্য বাড়িয়েছে। সূত্র
মসজিদ এবং ধর্মীয় স্থানে হামলা
ইসকন মন্দিরগুলোর সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন মসজিদ এবং মুসলিম ধর্মীয় স্থানে হামলা চালিয়েছে। এই কার্যক্রমটি মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। সূত্র
হিন্দুত্ববাদ বিস্তার
ইসকন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন তৈরির মাধ্যমে নিজেদের সম্প্রসারণ করছে। এটি বাংলাদেশে ধর্মীয় বিভেদের সৃষ্টি করছে এবং শান্তিপূর্ণ সাম্প্রদায়িক পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলছে।
এছাড়া, বিভিন্ন মসজিদ এবং ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলা এবং বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক সংগঠন তৈরির মাধ্যমে ইসকন হিন্দুত্ববাদের বিস্তার ঘটাতে কাজ করছে।
এগুলো শুধুমাত্র কয়েকটি উদাহরণ, যা প্রমাণ করে যে ইসকনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিবেশে প্রভাব ফেলছে এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করছে।
ইসকনের আসল চেহারা
ইসকন নিজেকে হিন্দু ধর্মের অংশ হিসেবে প্রচার করলেও তারা শিব, কালী, লক্ষ্মী, দুর্গা প্রভৃতি দেবতার প্রতি বিরোধিতা করে। তাদের একাধিক বইয়ে দাবি করা হয়েছে যে যারা শিব বা কালী পূজা করেন তারা স্বর্গে যেতে পারবেন না, তাদের পুনর্জন্ম হতে থাকবে। এই ধরনের বিতর্কিত মতবাদ, সনাতন হিন্দু ধর্মের মূল বিশ্বাসের বিপরীতে।
ইসকন, তাদের অর্থনৈতিক শক্তি, আন্তর্জাতিক বিশাল স্থাপনাগুলি এবং গরুর গোবর ও গোমূত্রের ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করার পাশাপাশি, তাদের ধর্মীয় প্রতীকী অনুসরণ করতে বাধ্য করছে। তাদের মন্দিরগুলোতে সারাদিন উচ্চস্বরে ধ্বনি বাজানো হয়, যা আশেপাশের লোকদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।
শেষ কথা
বাংলাদেশে ইসকনের কর্মকাণ্ড এবং তার সাম্প্রদায়িক প্রভাব খুবই উদ্বেগজনক। দেশের স্বাধীনতা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য এখনই এ ধরনের সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা উচিত।
সূত্র:
-
এই লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া পুনঃপ্রকাশ বা বিতরণ কপিরাইট আইন লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হবে
কপিরাইট: -তুহিন সারোয়ার বাংলাদেশ
Comments
Post a Comment